বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুর (নাটোর) থেকে মেহেদী হাসান তানিমঃ চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুর উপজেলার কৃষকেরা এবারের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রোপা আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলনবিলে এ বছর হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে রোপা আমন, সবজি সহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার পরেও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকেরা দিনরাত অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমন ধান রোপণে।
এ বারের বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সব চাইতে বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে খুবজীপুর ও বিয়াঘাট ইউনিয়নের পুর্বাঞ্চল। গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রায় ৪শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসলের সম্পুর্ণ রুপে ক্ষতি হয়েছে। তবু ও থেমে নেই ওই এলাকার কৃষকেরা। ইতোমধ্যেই কোমর বেধে লেগে পড়েছেন রোপা আমন ধান রোপণে। বীজতলা নষ্ঠ হওয়ায় নতুন করে বীতলা তৈরী সহ রোপা আমন ধান রোপণে দিন রাত পরিশ্রম করছেন কৃষকেরা।
আরও পড়ুনঃ নাটোরে কাঁচা মরিচের দামের ঝালে নাকাল ক্রেতা-ভোক্তা
গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামের কৃষক আব্দুল রহিম জানান, এ বছরের বন্যায় আমার রোপনকৃত রোপাআমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ন রুপে নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা ও হাট-বাজার থেকে অধিক মুল্যে রোপা আমন ধানের চারা কিনে জমিতে রোপণ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তারমতো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আরো অনেক কৃষক বর্তমানে রোপা আমন ধান রোপণ করতে বেশ কষ্ঠ করছেন। অনেক কৃষক রোপা আমন ধান রোপন করতে সার, বীজ, কীটনাশক ক্রয় করতে দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল করিম জানান, এবারের বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকেরা যেন ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে পারে তার জন্য ৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরীতে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাছারা ৪শ জন কৃষককে বিনামুল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে গুরুদাসপুর উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি আর ও জানান, আর যদি পুনরায় বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে গুরুদাসপুর উপজেলার কৃষকেরা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply